কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে কক্সবাজারে বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের বিশেষ প্রার্থনা

বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছে কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ।

১৭ মার্চ বিকাল ৪টায় কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং কর্ম নিয়ে পরিষদের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কেতন বড়ুয়া, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শিক্ষক মিলন বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপক বড়ুয়া বিটু, শ্যামল বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক রাজু বড়ুয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আশীষ বড়ুয়া, উখিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি প্রভাষক রনজিত বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক

সুনীল বড়ুয়া আলোচনায় অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতোনা। তাঁর জন্ম না হলে শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন এবং বঞ্চনা থেকে এ জাতি আজও মুক্তি পেতনা। সর্বস্ব দিয়ে তিনি যে স্বাধীন রাষ্ট্র আমাদের জন্য রেখে গেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ট নেতৃত্বে তা আজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়দায়িত্ব এবং কর্তব্য আছে। আজকে আমরা সেই নৈতিক কর্তব্য পালন করতেই এখানে সমবেত হয়েছি।আজকের এই দিনে আমরা জনককে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারছি। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই সবাই যার যার ধর্মকর্ম পালন করতে পারছেন। জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা কতখানি কোনো পরাধীন জাতিই তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারে। সবার আগে দেশ বড়, দেশের শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বড়। এই দেশের স্বাধীনতা যার হাত ধরে এসেছে তাঁকে জাতি, ধর্ম, দলমত নির্বিশেষে স্মরণ করা সকলের নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করি। আজ আমরা সেই কাজটা করার জন্যই এখানে সম্মিলিত হয়েছি যে কাজটা আমাদের করা একান্ত উচিত।

ভবিষ্যতেও রাষ্ট্রের প্রতিটি জাতীয় দিবস প্রতিপালনের পাশাপাশি রাষ্ট্রের উন্নয়ন,শান্তি, সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতির স্বার্থে কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
আলোচনা সভা শেষে সবাই বিশেষ প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন। প্রার্থনার পূর্বে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবছর উপলক্ষে একশটি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

পাঠকের মতামত: